কুমিল্লার শালবন
বিহার আমাদের কাছে
এত দিন বইয়ের
পাতাতেই ছিল। চাক্ষুষ দেখার
সৌভাগ্য হলো ফিল্ড
ট্রিপে গিয়ে। সূর্য ওঠার
আগেই ফেরদৌস স্যারের নেতৃত্বে ক্যাম্পাস থেকে
রওনা দিলাম। শীতের সকালে
ক্লাসে আসতে গড়িমসি
থাকলেও এদিন সময়ের
আগেই সবাই হাজির। সবাই
মিলে ভ্রমণের আনন্দেই কি
না লিরা, সাহান
ও বুলেটের প্রায়
শোনার অযোগ্য গানও
এদিন বড় মধুময়
মনে হচ্ছিল। বাদশা, অমিত
আর সূচনা ব্যস্ত
ছবি তোলায়। সকালের নাশতা
দেওয়া হলো। গান আর
ক্যামেরার ক্লিক ভুলে
সবাই ব্যস্ত হলো
খাওয়ায়।
বেলা ২টার দিকে
পৌঁছলাম দেশের প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম
নিদর্শন শালবন বৌদ্ধবিহারে। এতে সর্বমোট ১৫৫টি
কক্ষ আছে। যেগুলোর সামনে
সাড়ে আট ফুট
চওড়া টানা বারান্দা, শেষ
প্রান্তে অনুচ্চ দেয়াল। সব
কক্ষের দেয়ালে তিনটি
করে কুলুঙ্গি। সেখানে দেবদেবী ও
তেলের প্রদীপ রাখা
হতো।
সব ঘুরে দুপুরের খাবার
সেরে গেলাম বাংলাদেশ একাডেমি ফর
রুরাল ডেভেলপমেন্ট বা
বার্ডে।
তাদের কার্যক্রমের ওপর
নির্মিত একটি তথ্যচিত্র দেখলাম। সরেজমিনেও ঘুরে
দেখা হলো খানিকটা। সব শেষে
কুমিল্লার বিখ্যাত রসমালাই খেয়ে
ক্যাম্পাসে ফিরলাম।
* জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments:
Post a Comment