সুয্যি মামার
তখনো ঘুম ভাঙেনি। মৃদু
আঁধারে বসন্তের হূদয়
ছুঁয়ে যাওয়া মৃদু
বাতাস। হিমুদের অপেক্ষায় ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের
কবি জসীমউদ্দীন হলের
সামনে লাল বাস।
ব্যস্ত নগরজীবনের ক্লান্তির ঘুম
উপেক্ষা করে হিমু
সাজে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার
বিভিন্ন শিক্ষাপীঠে পড়ুয়া
পাংশা উপজেলা ছাত্র
কল্যাণ সমিতির সদস্যরা যথাসময়ে যথাস্থানে উপস্থিত। সবাই
শুভসংঘের বন্ধু। কবি
জসীমউদ্দীন হল থেকে
সকালের নাশতা করে
রওনা হলেন সবাই
নুহাশপল্লীর উদ্দেশে। নগরীর
বুক থেকে লাল
বাস ছুটে চলল
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নিজ
হাতে গড়া প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য খ্যাত
নুহাশপল্লীতে।
সম্প্রতি এই আয়োজন
করেছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা।
সড়কপথের দীর্ঘ
বাধা পেরিয়ে অবশেষে
গন্তব্যস্থানে
যখন সবাই পৌঁছলেন তখন
নুহাশপল্লীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিমেষেই যেন
যাত্রাপথের সব ক্লান্তি দূর
করে দিল। শান্ত
প্রকৃতির মাঝে হুমায়ূন আহমেদের আবক্ষ
মূর্তি, লীলাবতী দিঘির
স্বচ্ছ পানির সৌন্দর্য, পদ্ম
ফোটা পুকুরের মাঝে
পাথরের মত্স্যকন্যা আর
প্রাগৈতিহাসিক
প্রাণীদের অনুকীর্তি যে
কাউকে স্বপ্নজালে আবদ্ধ
করবে। সত্যিই নিজ
হাতে এক স্বপ্নজগৎ গড়ে
তুলেছেন জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ।
বাস থেকে নেমেই
কেউ লীলাবতী দিঘির
পাড়ে, কেউ হুমায়ূন আহমেদের আবক্ষ
মূর্তির সঙ্গে, কেউ
বা মত্স্যকন্যার সঙ্গে
ছবি তুলতে ব্যস্ত। তবে
নূসরাত, সম্রাট, সুমনা,
রিয়াজুল ও হাফিজুল যেন
সবার চেয়ে একধাপ
এগিয়ে। অল্প সময়ের
মধ্যে সেলফি তুলে
ফেসবুকে পোস্ট করতেও
তাঁরা ভোলেননি। মুহূর্তগুলো ক্যামেরায় বন্দি
করতে ভুল করেননি
নয়া ফটোগ্রাফার সম্রাট
সাকিল। নুহাশপল্লীতে ঘোরাঘুরি শেষে
একসঙ্গে দুপুরের একটা
জম্পেশ খাওয়ার পর
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একত্র
হয় সবাই। অনুষ্ঠানে ফান
বক্সের আয়োজন ছিল।
পাংশা উপজেলা
ছাত্র কল্যাণ সমিতির
প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি
শেখ সোহেল রানা
টিপু হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিচারণা করেন।
এ ছাড়া সাবেক
শিক্ষার্থীদের
মধ্যে আকরাম হোসাইন,
আশরাফুল আলম ইকবাল,
নেহাল হোসাইন নিজ
জন্মস্থান ও ক্যাম্পাসজীবনের স্মৃতিচারণা করেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি
এম এহতেশাম। কালের
কণ্ঠ শুভসংঘ ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়
শাখার যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ইসমাইল হোসেনকে সভাপতি
ও আল-আমিনকে
সাধারণ সম্পাদক করে
পাংশা উপজেলা ছাত্র
কল্যাণ সমিতির এক
বছরের জন্য নতুন
কমিটি গঠন করা
হয়।